অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়। বহুদিন মাছ-মাংসের ঝোল ছুঁতে পারিনি
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কবুরহাট মাদরাসা পাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ ঝুমুর আলী। তিনি স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও মেয়ে কাকলী খাতুনকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।
সত্তরোর্ধ্ব ঝুমুর আলী বলেন, আমার খাদ্য ও চিকিৎসার খুব কষ্ট। সব কিছুরই কষ্ট। আমার কোনো ছেলে নেই। তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়েছে। অভাব অনটনে আমাদের খুব কষ্ট হয়। সবার সাহায্য চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, ঝুমুর আলীর পরিবারের সবাই অসুস্থ। ঝুমুর আলী ও তার স্ত্রী ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। আয় উপার্জন করার মনো কেউ নেই। অর্থের অভাবে খুব কষ্ট করে তারা। ঠিকমতো বাজার করতে পারেন না। চিকিৎসা করাতে পারেন না। অভাব অনটনে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়। তাদের সহযোগিতা করার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবেশীরা বলেন, স্ট্রোক করার পর বেশ কয়েক বছর ধরে ঝুমুর আলী চলাচল করতে পারেন না। তার স্ত্রীরও কোমরের হাড়ে সমস্যা, ঠিকমতো হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না, হার্টের রোগে অসুস্থ। মেয়েটা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়েছে। তারাও গরিব। সুস্থ থাকা অবস্থায় ঝুমুর আলী অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে ও দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিজের এক কাঠা জমির ওপর মাটির ঘর ছাড়া কিছুই নেই। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকেন তারা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, বাজার করতে পারেন না। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এই এলাকার সবচেয়ে গরিব মানুষ তারা। সংসার চালানো ও চিকিৎসা করা পরিবারের কাছে অসাধ্য ব্যাপার। সরকার বা বিত্তবানদের কাছে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সম্পূর্ণ খবর https://www.dhakapost.com/country/268876